মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজার থেকে আজমির নুর জয় নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে অপহরণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার) ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ভিকটিম আজমির নুর জয়কেও উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈদগাঁও বাজারস্থ মেডিকেল সেন্টার নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অপহরণের শিকার জয় ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার হাজী নুরুল আমিনের ছেলে এবং ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেজি স্কুলের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আটককৃতরা হলেন- ঈদগাঁওর মাইজ পাড়া এলাকার শফিক আহমদের স্ত্রী মহিলা মেম্বার নুর জাহান প্রকাশ হৃীলা মেম্বার ও ছেলে ছায়েদুর রহমান (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, ভিকটিম আজমির নুর জয় তার বড় ভাইয়ের বউকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারে যায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে ধৃত মহিলা মেম্বার ও তার ছেলের নেতৃত্বে আরো ৬-৭ জন অজ্ঞাতনামা জয়কে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে মাইজপাড়াস্থ মহিলা মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে জয়ের আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুদের মধ্যে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে লোকজন ঐ মেম্বারের বাড়িতে যায়। এ সময় তাকে ছাড়িয়ে নিতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হয় বলে জানায় জয়ের চাচা যুবলীগ নেতা এনাম রনি। পরে খবর পেয়ে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দেশে এসআই আবু বকর ছিদ্দিক, এএসআই নিজাম উদ্দিন পুলিশ দল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে জয়কে উদ্ধার করে। ভিকটিমের পরিবারের দাবী অনুযায়ী অপহরণে জড়িত সন্দেহে নুর জাহান প্রকাশ হৃীলা মেম্বার ও তার ছেলে ছায়েদুল ইসলামকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রয়েছে। তবে পূর্ব শত্রুতাটা কি নিয়ে তা খোলাসা করতে পারেনি পুলিশ।
জয়ের নিকটাত্মীয় উপজেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ উদ্দিন রাশেল জানান, এই জগন্যতম ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা করলে সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নুর জাহান মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় একটি টোকাই বাহিনী গড়ে তুলে। এই বাহিনীর মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা, মারামারি, জমি দখলসহ হরেক রকমের অপরাধ করে আসছিল। তার গ্রামের বাড়ি টেকনাফের হৃীলা ইউনিয়নে হওয়ার সুবাদে তার স্বজনদের মাধ্যমে এলাকায় ইয়াবা এনে বিক্রি করে। তার অশালীন আচরণের কারণে কেউ বিষয়গুলোর প্রতিবাদ করে না। তার এসব অপকর্ম পরিষদ সংশ্লিষ্ট থেকে শুরু করে স্থানীয় এলাকাবাসীকেও ভাবিয়ে তুলেছে বলে উল্লেখ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সচেতন মহল। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তুলে ধরতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।
এসএস